আলোচনার প্রারম্ভে উপাচার্য আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের জনগণ, সরকার এবং বিশেষ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অসামান্য অবদান ও ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের সাথে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ভারতের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সাহিত্য, চারুকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জৈব, কৃষি ও সুন্দরবন নিয়ে গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কোলাবারেটিভ রিসার্চে আগ্রহী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ভারতে চিকিৎসা, পর্যটন, কনফারেন্স, সেমিনার, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে গমনে ভিসা প্রাপ্তির সহজীকরণের বিষয় নিয়ে আলাপ করেন।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সুন্দরবন, পর্যটন, মাটি, পানি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং গবেষণার ক্ষেত্রে উপাচার্যের সবিশেষ দক্ষতা ও আগ্রহের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। এসব বিষয়ে সম্ভাব্য ক্ষেত্র চিহ্নিত করে লিঙ্ক স্থাপন ও যৌথ শিক্ষা-গবেষণায় তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সহকারী হাইকমিশনার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপাচার্যের নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষষণাসহ সার্বিক দিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে উপাচার্য সহকারী হাইকমিশনারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু স্মারকগ্রন্থ উপহার দেন। এসময় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদান শীর্ষক একটি গ্রন্থ উপাচার্যকে উপহার দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।